অপাঠ্যসূচি

ক.আমি আর গ্রন্থ পরস্পরবিরোধী। যাবতীয় সংজ্ঞাকে অবজ্ঞার চোখে তাকাচ্ছি। পৃথিবীর সব রচনা সংকটে পড়ে রচিত। পাতাদের সভায় যে মর্মরধ্বনি- গ্রন্থ তা শুনাবে কিভাবে? উচ্চমার্গীয় হাওয়া কেবল নাড়িয়ে দিচ্ছে বৃক্ষের চুল। তাতেও বিড়াল ভয় না পেয়ে নদীর কিচেন থেকে চুরি করছে মাছ। পত্রিকা না পড়লেও জানি স্তন দেশে এখন দারুণ শীত। পাখিরা অক্ষরের পাঠচক্র বিমুখ। আর যেসব ফুল জব্দ হয়ে কপালে মেখেছে চন্দনের ফোঁটা তারা চলেছে শকটে বোঝাই দুস্থদের মাঝে পুস্তক বিতরণে।

খ.
নামের পেছনে দৌড়াচ্ছিল গরু। গরুর পেছনে রাখাল। রাখালের হাতে দঁড়ি। সুযোগ পেলেই পরিয়ে দিবে গলায়। দৌড়ায় গরু উড়ে লেজ নড়ে দুগ্ধ ওলান। একটু থামলেই ধরে রাখাল চুষে নেবে বাট। দৌড়াও গরু দৌড়াও। পার হয়ে যাও একাডেমির মাঠ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন